Monday, September 23, 2019

Agenda partagé en ligne


prise de rendez vous pour médecins en ligne my simply agenda est un outil full services qui associe à la fois un agenda en ligne, un back office de réservation par internet et un secrétariat téléphonique à la demande et sur mesure pour gérer au mieux votre planning et faciliter la vie de vos clients. Etre visible en ligne à travers un site web de prise en rendez vous adapté à votre activité

 L'agenda par internet 
A travers ses nombreuses options, l'agenda my simply agenda vous suis en continue dans vos prises de rendez vous. Nous garantissons un outil de qualité optimale basée sur la compétence de l'ensemble de nos employés et mettons quotidiennement à jour les outils agenda afin qu'il réponde parfaitement à vos besoins. l'agenda pour docteur par internet à votre disposition

 Votre site d'aministration par internet intuitif et consultable depuis tous les supports électronique. Assez des grofonages sur votre calpin personnel? Besoin d'accès rapide à vos prise de rendez-vous professionels ou aux informations relatives à votre activité?
A l'aide de la socution mysimplyagenda, verifiez vos disponibilités, organisez vos rendez-vous et adminitrez votre activité partout et en quelques clique!
Des emails et textos de rappels des rendez-vous gagnez en professionnalisme et faites la guerre aux oublis!
 Personnalisez vos thèmes, et configurez en quelques secondes l'envoi automatique de mails et de sms de confirmation et de rappel de vos patients.
pelerinage a la Mecque mots fleches prise de rendez vous en ligne à votre service fb fb2 fb3

Sunday, August 18, 2019

আধুনিক বাইবেল-বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য | পর্ব ২

এদিকে মথির ৩x১৪- এর অর্থ খুজতে গিয়ে কার্ডিন্যাল ডানিয়েলুর মতো বিজ্ঞ লেখকও অদ্ভুত সব ধ্যান-ধারণার পরিচয় দিয়েছেন। আমরা সুধি পাঠক-পাঠিকাবর্গের অবগতির জন্য তার কিছুটা নমুনা তুলে ধরছি। যেমন, “এর দ্বারা যা বুঝানো হয়েছে, তা ইহুদী মারফতী-ভেদের অতি সাধারণ দশ সপ্তাহের গুপ্ত রহস্য। হজরত আদম থেকে হজরত ইবরাহীম পর্যন্ত যে সময়কাল, তার জন্য ধরা হয় প্রথম তিন সপ্তাহ। দশ সপ্তাহের দশ থেকে এই তিন বাদ দিলে বাকি থাকে সাত। এর থেকে ছয় নিয়ে সাতের সাথে গুণ করলেই পাওয়া যাবে ১৪-নামের ৩-গ্রুপের গুণফল। বাকি যে সপ্তাহটি থাকে, সেই সপ্তমের শুরু যীশুখ্রীস্ট থেকেই; কেননা তিনি যে সময়ে আবির্ভূত হয়েছেন, তা থেকেই সূচনা ঘটেছে বিশ্বের সপ্তম জামানার।” এ ধরনের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ সম্পর্কে “মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন' ছাড়া আর কি কথাই বা বলা যেতে পারে, বলুন! more...

আধুনিক বাইবেল-বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য

কার্ডিন্যাল ডানিয়েলু তার “দি গসপেল অব চাইন্ডহুড” (১৯৬৭) নামক পুস্তকে” মথির এই “সংখ্যাতাত্ত্বিক চাতূর্যের' প্রতীক-অর্থ নিয়ে সর্বাধিক গুরুত্বসহকারে এমনভাবে আলোচনা করেছেন যেন এর মধ্যেই যীশুর বংশ-তালিকার সকল প্রমাণ নিহিত । উল্লেখ্য যে, লুকও এই বিষয়টার উপরে গুরুত্ব দিয়ে গেছেন। কার্ডিন্যাল ডানিয়েলুর মতে, মথি ও লুক উভয়েই ছিলেন “ঐতিহাসিক' এবং তাদের “ঐতিহাসিক অনুসন্ধান' সাফল্যজনকভাবে সম্পন্ন করার পরই তারা “এই বংশ-তালিকা' গ্রহণ করেছেন- “খোদ যীশুখ্রীস্টের পারিবারিক মোহাফেজখানা বা সংরক্ষণাগার থেকে ।' বলাই বাহুল্য যে, যীশুখ্রীস্টের এ ধরনের পারিবারিক মোহাফেজখানার কোনো অস্তিত্ব কখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি । more...

বাইবেলের নতুন নিয়ম | পর্ব ৫

ফাদার কানেনগিয়েসার যাতক বলেছেন, 'বিরুদ্ধপক্ষীয়দের মোকাবেলায় রচিত' যীশুশ্বীস্ট সংক্রান্ত নানা ধরনের বিতর্কের মোকাবেলায় তখন সে ধরনের পৃস্তক প্রচুর পরিমাণে রচিত হয়েছিল । আর এসব রচনা! অধিক মাত্রায় প্রকাশিত হচ্ছিল তখন, যখন পৌলের মতবাদের ধারায় গড়ে ওঠা খ্রীস্টধর্ম অন্যান্য খ্রীস্টান মতবাদের উপরে সুনিশ্চিতভাবে বিজয় লাভ করছিল। বলা অনাবশ্যক ৩৯ এই পর্যায়ে এই বিজয়ী পক্ষ এসব রচনা থেকে যাচাই-বাছাই করে নিয়ে নিজেদের জন্য অফিসিয়াল বা সরকারীভাবে স্বীকৃত সুসমাচারের পুস্তক সংকলন করে পরবর্তীকালে এই অফিসিয়াল সুসমাচারসমূহ প্রামাণ্য হিসাবে গৃহীত হয় এবং বাদবাকি যাবতীয় রচনা- যেগুলি তখনকার পোলীয় খ্রীস্টান গির্জাসংস্থা কর্তৃক অনুসৃত ধর্মীয় মতবাদের বিরোধী বলে সাব্যস্ত হয়েছিল- সেগুলি অপ্রামাণ্য হিসাবে হয় নিন্দিত ও বর্জিত। more...

বাইবেলের নতুন নিয়ম | পর্ব ৪

পৌলীয় খ্রীস্টানেরা রাজনৈতিক ও সামজিকভাবে ইহুদীদের থেকে নিজেদের আলাদা করে দিতে সক্ষম হলোঃ তারা হয়ে পড়ল তৃতীয় একটি গোষ্ঠী। কিন্তু তবুও ১৪০ খ্রীষ্টাব্দে ইহিুদীদের বিদ্রোহ ঘোষণার আগে পর্যন্ত জুডিও-ক্রিশ্চিয়ানদের মতবাদই সাস্কৃতিক ক্ষেত্রে নিজেদের প্রাধান্য বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছিল।” more...

Saturday, August 10, 2019

বাইবেলের নতুন নিয়ম | পর্ব ৩

কাডিন্যাল ডানিয়েলু তাঁর নিবন্ধের এই পর্যায়ে জুডিও-ক্রিশ্চিয়ানদের ধর্মীয়-রচনার উদ্ধৃতি তুলে ধরে এই সম্প্রদায়ের লোকেরা যীশুকে যে কি চোখে দেখতেন, তারও বর্ননা দিয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে গোড়াতেই যীশুর সঙ্গি-সাথি তথা প্রেরিতদের কেন্দ্র করে এই জুডিও-ক্রিশ্চিয়ান সম্প্রদায় গড়ে উঠেছিল। তাঁরা ধর্মগ্রন্থ হিসেবে গ্রহন করে ছিল হিব্রু ভাষায় রচিত সুসমাচারসমূহ (মিসরের এক জুডিও-ক্রিশ্চিয়ান সম্প্রদায়ের নিকট থেকে এই হিব্রু সুসুমাচারগুলি পাওয়া গেছে); ক্লেমেন্ট রচনাবলী, যেমন- হোমিলিস ও রিকগনিশনস, হাইপোটাই পোসিস; জেমস-এর দ্বিতীয় এ্যাপোক্যলিপস এবং টমাস রচিত সুসমাচার। more...

বাইবেলের নতুন নিয়ম | পর্ব ২

এই সময়কার খ্রীস্টধর্ম-সম্পর্কিত বহূ তথ্য ইতিমধ্যে আবিষ্কৃত হয়েছে এবং আবিষ্কৃত এইসব তথ্যের ভিত্তিতে আধুনিক অনেক গবেষনাও হযেছে পরিচালিত। এই গবেষকদের মধ্যে অন্যতম হলেন কার্ডিন্যাল ডানিয়েলু। ১৯৬৭ সালের ডিসেম্বরে তিনি স্টাডিজ পত্রিকার ‘এ নিউ রিপ্রেজেন্টেশন অব দি অরিজন্স অব ক্রিশ্চয়ানিটিঃ জুডিও- ক্রিশ্চিয়নিটি’ নামে এক প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। এই প্রবন্ধে তিনি এতদসংক্রান্ত অতীতের যাবতীয় রচনাবলী পর্যলোচনা করেন এবং ইতিহাসের ধারা অনুসরন করে বাইবেলের সুসমাচারগুলি কখন রচিত হয়েছিল, ,তার সঠিক সময়কাল সম্পকে আমাদের অবহিত করেন। । অধুনা জনগনের মধ্যে যে সব বাইবেল প্রচলিত, সেগুলিতে নতুন ‍নিয়মের সুমাচার সুমাচার রচনার যে সময়কাল উল্লেখ রয়েছে, কার্ডিন্যাল ডানিয়েলুর গবেষনার মধ্যমে প্রাপ্ত সময়কাল তা থেকে সম্পূর্ন ভিন্ন। আমি এখানে তাঁর সেই নিবন্ধের সংক্ষিপ্তসার প্রয়েজনীয় উদ্বৃতিসহ তুরে ধরছিঃ more...

Friday, August 9, 2019

বাইবেলের নতুন নিয়ম

বেশির ভাগ খ্রীস্টানই-বিশ্বাস করে যে, বাইবেলের সুসমাচারসমূহ (ইঞ্জিল-১-৪ খণ্ড) রচিত হয়েছে এমন সব ব্যাক্তির দ্বারা যাঁরা যাঁরা ছিলেন যীশুখ্রীস্টের জীবনের ঘটনাবলীর প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী। সুতরাং এইসব সুসমাচার যীশুখ্রীস্টের জীবনী ও তাঁর প্রচারর্কয সম্পর্কে যে সব বর্ননা লিপিবদ্ধে আছে। সেগুলি র্তকাতীতভাবেই সত্য ও প্রমান্য। এখ্যানে স্বাভাতই যে প্রশ্নটি জাগে তা হলো সুসমাচারসমূহের প্রমানিকতার এই গ্যারান্টি সত্বেও এসবের মধ্যে বর্নিত যীশুর শিক্ষা-সংক্রান্ত বিষয়ে এত প্রশ্ন উঠতে পারে এবং যীশুর নির্দেশে গঠিত গির্জার প্রতিষ্টানগত বৈধতা নিয়েই বা কিভাবে কেউ সন্দেহ পোষন করতে পারেন? যত প্রশ্ন উঠুক এভাবেই অধুনা বাইবেলের যেসব জনপ্রিয় সংষ্কার প্রমানিত হচ্ছে, সেগুলিতে হমেসা এ ধরনের সস্তা বক্তব্য তুলে ধরে প্রশ্নকারীদের মুখ বন্ধ রাখার প্রবনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।। more...

যেভাবে আবিস্কার হলো গুটি বসন্তের টিকা | এডওয়ার্ড জেনার | পর্ব ৪

ফলে যারা তাঁর সমালোচনা করত ক্রমেই তারা তাদের মাথা নিচু করতে বাধ্য হলেন। এবার তারাই নিন্দা ছেড়ে পঞ্চমুখ হয়ে উঠলেন জেনারের প্রশংসায় । এ-ভাবেই জেনারের নাম ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে । দেশব্যাপী ব্যবহৃত হতে থাকে তার আবিষ্কৃত টিকা। শুধু তাই নয়, চিকিৎসাবজ্ঞানের একজন খ্যাতিমান পুরুষ হিসেবে সম ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়ে তার নাম। হল্যান্ড এবং ইংল্যান্ড এবং সুইজারল্যান্ডের ধর্মযাজকরা,যাঁরা এতদিন জেনারের নিন্দায় সোচ্চার ছিলেন,তাঁরা নিজেরাই এবার জেনার আবিষ্কৃত টিক্ গ্রহনের জন্য মানুষকে উপদেশ দিতে লাগলেন চিকিৎসাশাস্ত্রে এই বিস্মযকর অবদানের জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্ট তাঁকে ১৮০২. থেকে ১৮০৫ খ্রীস্টাব্দের মধ্যে ২০,০০০ পাউন্ড অনুদান প্রদান করে। more...

যেভাবে আবিস্কার হলো গুটি বসন্তের টিকা | এডওয়ার্ড জেনার | পর্ব ৩

বিষয়টা নিয়ে তিনি তার সমকক্ষ অন্য ভাক্তারদের সাথেও আলাপ-আলোচনা চালান : সবাই এ নিয়ে বিস্থয় প্রকাশ করতে থাকেন। কিন্তু কোনো সমাধানে পৌছুতে পারেন না। এরপর তিনি নিজেই ভয়ঙ্কর এক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসেন। পরীক্ষা ছিল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ । কারণ তার অনুমান যদি সত্যি না হয়,তা হলে বিনষ্ট হবে একটি মূলাবান এক শিশুর জীবন আর তিনি নিজেও এই অপরাধের জন্য শাস্তির সম্মুখীন হবেন। ১৭৯৬ বিসটান্দে তিনি একটি গো-বসন্ত রোগাক্রান্ত মেয়ের হাতের বসস্তের পুঁজ তুলে নেন সিরিঞ্জের সাহায্যে । তারপর সেই পুঁজ জেমস ফিলিপস নামের এক সুস্থ সবল বালকের শরীরে প্রবিষ্ট করান । দেখা গেল কয়েক সন্তাহের মধোই বালকটি আক্রান্ত হয়ে পড়ছে গো-বসন্তে। আরো আছে...

যেভাবে আবিস্কার হলো গুটি বসন্তের টিকা | এডওয়ার্ড জেনার | পর্ব ২

এধরনের একটা ঘটনা জেনার ছাত্রজীবনেই একার প্রত্যক্ষ করেছিলেন। এক গাঁয়ে দেখা দিয়েছিল বসন্ত মহামারী । বাড়ির সবাই বসন্ত রোগে আক্রান্ত, কিনতু দেখা গেল সবার সেবা-শুশ্রূষা করার পরও বাড়ির কাজের মেয়েটির কিছুই হয়নি। সে দিব্যি ভালো আছে। ব্যাপারটা দেখে জেনার খুবই অবাক হন। তিনি পরীক্ষা করে আরও অবাক হয়ে যান। দেখেন, মেয়েটির কেবল দুটো হাত গো-বসন্ত রোগে আক্রান্ত । অর্থাৎ গো-বসন্ত রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণেই সে বসন্ত রোগের হাত থেকে রেহাই পেয়েছে। পরে জেনার এই ঘটনার সূত্র ধরেই আবিষ্কার করেন তার জগদ্বিখ্যাত 'বসস্তের টিকা' এবং এই কালব্যাধির হাত থেকে রক্ষা করেন পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষকে। তাঁর একটিমাত্র আবিষ্কারক এডওয়ার্ড জেনারের জন্ম ইংল্যান্ডের সোডবারি জেরার ব্রিস্টলের কাছাকাছি বার্কলে শহরে ১৭৪৯ খ্রিস্টাব্দের ১৭ মে ছেলেবেলা থেকেই তাঁর ইচ্ছে ছিল তিনি একজন চিকিৎসাবিজ্ঞানী হবেন । তাই তিনি মেডিসিন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। আরো আছে...

বাইবেল পুরাতন নিয়ম | খ্রীস্টান লেখকদের বিভ্রান্তি | পর্ব ৭

বিজ্ঞানের বিচারে বাইবেলের বাণীর এতসব ত্রান্তি সম্পর্কে খ্রীষ্টান লেখকদের এ ধরনের মানসিকতাই প্রমাণ করে যে, এতদ্সংক্রান্ত আলোচনা ওইসব লেখকের জন্য কতোটা অস্বস্তিকর। এর দ্বারা আরো প্রমাণিত হয় যে, যুক্তি-জ্ঞানসম্পন্ন যে কাউকেই আজ বাইবেলের বাণীর অযৌক্তিকতা হয় স্বীকার করে নিতে হবে, নতুবা তাঁকে মানতেই হবে যে, ওইসব বাণী মানুষেরই রচনা। কিন্তু যাই করা হোক, বাইবেলের ওইসব বাণী যে মোটেও ওহী বা প্রত্যাদেশপ্রাপ্ত অর্থাৎ অবতীর্ণ ঐশী বাণী নয়, সেটা সাব্যস্ত হতে আর বাকি থাকে না। ঐশী গ্রন্থ হিসাবে বাইবেল যে কতোটা সঠিক, সে সম্পর্কে খ্রীস্টান মহলে এর অস্বস্তিকর অবস্থা আরো প্রকটভাবে ফুটে উঠেছে দ্বিতীয় ভ্যটিক্যান কা্‌উন্সিল, অধিবেশনে (১৯৬২-১৯৬৫)। তিন তিনটি বছর ধরে আলাপ-আলোচনা চালাবার পরেও এই অধিবেশনে চূড়ান্ত কোন প্রস্তাবের ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌছান সম্ভব হযনি। আরো আছে...

বাইবেল পুরাতন নিয়ম | খ্রীস্টান লেখকদের বিভ্রান্তি | পর্ব ৬

এদিকে কোন কোন আধুনিক ধর্মবেত্তা এসব গরমিলের মধ্যে মিল দেখাতে গিয়ে অর্থাৎ ইতিহাস ও বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত সত্যের সাথে বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টে বর্ণিত ভ্রান্তিপূর্ন নানান ঘটনার সামঞ্জস্য বিধান করতে গিয়ে সত্যের চিরাচরিত সংজ্ঞার পরিবর্তন সাধনেও ব্রতী হয়েছেন। বাইবেলের বিধৃত সত্যের উপরে আলোকপাত করতে গিয়ে ওইসব লেখক তাদের নানান রচনায় 'সত্য' সম্পর্কে যেসব অদ্ভুত অদ্ভুত বক্তব্য পেশ করার প্রয়াস পেয়েছেন, বর্তমান পুস্তকে তার বিশদ আলোচনার তেমন কোন অবকাশ নেই। তবুও নমুনা হিসাবে লরেটজ-এর "হোয়াট ইজ দা ট্রুথ অব দা বাইবেল?‘১ পুস্তকে প্রদত্ত বিজ্ঞান সম্পর্কিত একটা সিদ্ধান্ত তুলে ধরছি। আরো আছে...

যেভাবে আবিস্কার হলো গুটি বসন্তের টিকা | এডওয়ার্ড জেনার

আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগেও বসন্ত রোগ ছিল এক মারাত্মক 'আতন্ক। পৃথিবীর সল্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থা ছিল আরও করুণ। যখন কোনো গ্রামে বসন্ত রোগ দেখা দিত, ক্রমে তা মহামারীর রূপ ধারণ করে, মৃত্যুর কারণ ঘটাত হাজার হাজার মানুষের । বসন্ত রোগে আক্রান্ত হলে তখন খুব কম লোকই বেঁচে উঠত । কেউ প্রাণে বেঁচে গেলেও সারাজীবনের জন্য শরীরে বয়ে বেড়াতে হতো এই রোগের বীভৎস ক্ষতচিহ্ন। এই ভয়ঙ্কর কালব্যাধির হাত থেকে যে মহান রক্ষ্ করেছেন পৃথিবীর মানুষকে তার নাম বিজ্ঞানী এওয়ার্ড জেনার (Edward Jenner)তাঁর আবিষ্কৃত বসন্তের টিকার ব্যাপক ব্যবহারের ফলে শতান্দীকালের মেধ্যেই এই রোগ আজ নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। আরো আছে...

বাইবেল পুরাতন নিয়ম | খ্রীস্টান লেখকদের বিভ্রান্তি | পর্ব ৫

পক্ষান্তরে আধুনিক যুগের বিশেষজ্ঞদের বেলায় দেখা যাচ্ছে, তারা বাইবেলের রচনায় ভ্রান্তি অপনোদনের চেয়ে ভ্রান্তি সংক্রান্ত অভিযোগগুলি খণ্ডন করার জন্যই বিশেষ পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বাইবেলের আদি পুস্তকের ভূমিকা লিখতে গিয়ে ফাদার ডি ভক্স জানাচ্ছেন, কেন তিনি বাইবেলের বক্তব্যসমূহ ইতিহাস ও বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে অগ্রহনযোগ্য হওয়া সত্বেও সেগুলিকে যে কোন মূল্যে সমর্থন করতে চান। এই একই আলোচনায় তিনি "যে নিয়ম ও পদ্ধতিতে আধুনিক যুগের মানুষ ইতিহাসের চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণ করে থাকেন,” সে পদ্ধতিতে বাইবেলে বর্ণিত ইতিহাসকে বিশ্লেষণ না করারও আবেদন জানাচ্ছেন। তাঁর এই বক্তব্য থেকে মনে হয় যেন যে কোন পদ্ধতিতেই ইতিহাস রচনা ও আলোচনা সম্ভব। অথচ (যে কেউ স্বীকার করবেন যে,) ইতিহাস যখন সঠিকভাবে উপস্থাপিত করা না হয় তখন তা আর ইতিহাস থাকে না, হয়ে পড়ে প্রতিহাসিক উপন্যাস। কিন্তু বর্তমানের যুক্তি-বিজ্ঞানের সুপ্রতিষ্ঠিত নিরিখে এ ধরনের কোন এতিহাসিক উপন্যাসকে এখন আর সঠিক ইতিহাস হিসেবে গ্রহণ করা সম্ভব নয়। অথচ এই আধুনিক ভাষ্যকার ভূতত্ব, জীবাশ্ম বিজ্ঞান কিংবা প্রাগৈতিহাসিক কোন বিষয়কে যে ভাবে বিচার-বিশ্রেষণ করা হয়, বাইবেলের কোন রচনাকে সে ধরনের কোন তথ্য ও প্রমাণ ছারা যাচাই-বাছাই করে নেওয়ারও বিরোধী। আরো আছে...

বাইবেল পুরাতন নিয়ম | খ্রীস্টান লেখকদের বিভ্রান্তি | পর্ব ৪

যা হোক, আমরা এখানেই কার্ডিন্যাল ড্যানিয়েলুর আলোচনার ইতি টেনে ফিরে যেতে চাই সেই মধ্যযুগে, যখন বাইবেলকে ঠিক যেমনটি আছে, তেমনটিই বিনা প্রশ্নে মেনে নিতে হতো এবং কনফরমিস্ট (কনফরমিস্ট তাঁদের বলা হয় যাঁরা চার্চ অব ইংল্যাণ্ডের উপাসনা- পদ্ধতি বিনা দ্বিধায় মেনে চলেন) ছাড়া বাইবেল সম্পর্কে আলোচনা করার কোনো অধিকার কারো ছিলো না। কিন্তু মধ্যযুগের এসব বিধি-নিষেধ আরোপের মুখেও সে বিষয়ে বাইবেলের আলোচনায় উচ্চ পর্যায়ের যুক্তি-বিজ্ঞানের প্রয়োগ আমরা লক্ষ্য করি। এই প্রসঙ্গে সেন্ট অগাস্টিনের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। বাইবেলের ব্যাখ্যায় যুক্তি-বিজ্ঞানের প্রয়োগ ছিলো তাঁর নিজস্ব চিন্তার ফসল এবং সে যুগে তিনি একাই এই যুক্তি-বিজ্ঞানের ধারাকে অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। আরো আছে...

বাইবেল পুরাতন নিয়ম | খ্রীস্টান লেখকদের বিভ্রান্তি | পর্ব ৩

আরেক পন্থায়ও বাইবেলের বিতর্কিত এবং যুক্তির বিচারে অথহণযোগ্য রচনাসমূহ সাধারণ্যের নিকট গ্রহণযোগ্য বলে চালানোর প্রয়াস চলে। তা হলো, এ ধরনের রচনার ব্যাপারে ভাষ্যকারদের যুক্তিহীনভাবে সমর্থন প্রদানের প্রবণতা । এই প্রবণতায় তাঁরা সংশ্লিষ্ট রচনার সঠিকত্ব বিচারের গুরুত্ব এড়িয়ে পাঠকদের মনোযোগ ভিন্ন দিকে পরিচালিত করার প্রয়াস পেয়ে থাকেন। কার্ডিন্যাল ড্যানিয়েলুর মহাপ্লাবন সংক্রান্ত বাইবেলের বক্তব্যের ব্যাখ্যা এর প্রধান উদাহরণ। ‘লিভিং গড’ পত্রিকায় (Dieu vivant, 38,1974, PP 95- 112) প্রকাশিত ‘ফ্লাড, ব্যাপ্টিজম, জাজমেন্ট’ শীর্ষক রচনায় তিনি বলেন ‘‘চার্চের প্রাচীন বিবরনগুলিতে দেখা যায়, মহাপ্লাবনের একটি ধর্মতান্তিক ব্যাখ্যা রয়েছে। চার্চের এসব বিবরণীর মতে, এই মহাপ্রাবন ঘটনার মধ্যে যীশুখ্রীস্ট ও চার্চের সাদৃশ্য রয়েছে -এই ঘটনা বস্তুতই তাৎপর্যপূর্ণ।” আরো আছে...

বাইবেল পুরাতন নিয়ম | খ্রীস্টান লেখকদের বিভ্রান্তি | পর্ব ২

বলা অনাবশ্যক যে, এভাবেই এই লেখক জনপ্রিয় এক লোককাহিনীকে আসমানী-বাণীর অংশ হিসাবে উপস্থাপনের যৌক্তিকতা খুঁজে নিতে চেয়েছেন এবং বলতে চেয়েছেন যে, মানুষের বিশ্বাসবোধ জাগ্রত করার জন্য ধর্মীয় শিক্ষার উপকরণ হিসাবে এ ধরনের কাহিনী ব্যবহারে দোষের কিছু নেই। কিন্তু লেখক হয়ত ভুলে গেছেন যে, তাঁর এই অত্নপক্ষ সমর্থনের দ্বারা প্রমাণিত হচ্ছে, আল্লাহর বাণী হিসাবে পরিগৃহীত ও পবিত্র বলে স্বীকৃত এই বাইবেল রচনার বেলায় সংশ্লিষ্ট লেখকবৃন্দ কতটা স্বাধীনভাবে নিজেদের কলম চালিয়ে গেছেন। আর আসমানী কিতাব হিসাবে পরিচিত বাইবেলের কোনো একটি বিষয় লিপিবদ্ধ করার ব্যাপারে মানুষের এ ধরনের হস্তক্ষেপের কথা একবার যদি স্বীকার করে নেওয়া হয়, তাহলে গোটা বাইবেল রচনার প্রশ্নেও মানুষের স্বার্থ চরিতার্থ করার বিষয়টা সাব্যস্ত হয়ে পড়ে না কি? যদি বলা হয় যে, এই হস্তক্ষেপের পিছনে ধর্মীয় উদ্দেশ্য বিদ্যমান ছিলো, তাহলে তো এ ধরনের সকল হস্তক্ষেপই বৈধ হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, এভাবে খ্রীস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর পুরোহিত-লেখকগণের দ্বারা বাইবেলের রদবদল সাধনের বিষয়টাও যুক্তিসঙ্গত বলেই বিবেচনা করতে হয়। এমনকি যে ধর্মীয় ভাবাবেগে তাড়িত হয়ে ওইসব লেখক সেদিন বাইবেলের মধ্যে যতসব আজগুবি রচনার সমাবেশ ঘটিয়েছিলেন, যার কিছু কিছু পরিচয় ইতিমধ্যে আমরা পেয়েছি, সে সম্পর্কেও তাহলে বলার আর কিছুই থাকে না। আরো আছে...

Tuesday, August 6, 2019

বাইবেল পুরাতন নিয়ম | খ্রীস্টান লেখকদের বিভ্রান্তি

বাইবেলের এই পুঞ্জীভূত ভূল, অবাস্তবতা ও স্ববিরোধিতার প্রশ্নে খ্রীস্টান ভাষ্যকার ও ব্যাখ্যাদাতাদের বিচিত্র মনোভাব দর্শনে যে-কেউ অবাক না হয়ে পারবেন না। অবশ্য কিছুসংখ্যক ভাষ্যকার বাইবেলের কিছু কিছু ত্রুটি-বিচ্যাতির কথা স্বীকার করে নিতে দ্বিধা করেননি এবং নিজেদের রচনায় ওইসব সমস্যার মীমাংসা খুঁজে বের করতেও চেষ্টার কোন ক্রটি রাখেননি। কিন্তু বাদবাকি ভাষ্যকার বাইবেলের ওইসব অগ্রহণযোগ্য বাণীর ব্যাপারে ভাসাভাসা আলোচনা চালিয়েই ক্ষান্ত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, বাইবেলের প্রতিটি বাণীকে বর্ণে বর্ণে গ্রহণ করার সমর্থনেও তাঁরা জোর-বক্তব্য পেশ করেছেন। আরো আছে...

Sunday, August 4, 2019

বাইবেলের আদি উৎস | টেন-কম্যাণ্ডমেন্টস

এটা বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারন রয়েছে যে, খ্রীস্টপূর্ব ত্রয়োদশ শতকের শেষভাগে ইহুদীরা যখন কেনানে বসতি স্থাপন করেছিলো, তখন থেকেই ঐতিহ্যবাহী এসব কাহিনী লিপিবদ্ধ ও সংরক্ষনের কাজ শুরু হয়। তবে, সে লেখা যে নির্ভুল ছিলো, তা নয়। এমনকি আইন বা বিধানের মতো যেসব বিষয়ে মানুষের চাহিদা ছিলো সর্বাধিক, তেমনি অন্য আরো যেসব বিষয় স্থায়ীভাবে ধরে রাখা প্রয়োজন ছিলো। সে সব বিধান এবং বিষয়ও নির্ভুলভাবে লিখিত হয় নি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বিধাতার নিজ হাতে রচিত বলে প্রচারিত দশটি বিধান বা টেন-কম্যাণ্ডমেন্টস। আরো আছে...

বাইবেলের আদি উৎস

পুস্তকাকারে সংকলনের পূর্বে বা্ইবেল ছিলো ঐতিহ্যবাহী জনকথা অর্থাৎ মানুষের স্মৃতিনির্ভর কাহিনি মাত্র। আদিতে এই ধরনের স্মৃতিচারনই ছিলো ভাবাদর্শ প্রচারের একমাত্র উপায়। আর এই ঐতিহ্যনির্ভর স্মৃতিকথা সম্পচারের মাধ্যম বা বাহন ছিল সঙ্গীত। আরো আছে...

Wednesday, July 31, 2019

ওল্ড টেস্টামেন্ট বা বাইবেল পুরাতন নিয়ম | তৃতীয় পর্ব

সপ্তম শতাব্দী পর্যন্ত এই বাইবেল প্রামান্য গ্রন্থ হিসেবে চালু ছিলো। সাধারন্যে ব্যবহাবের জন্য খ্রীস্টান জগতে বাইবেলের যে গ্রীক পাঠটি চালু আছে তার মূল খসড়াটি Codex Vaticanus নামে তালিকাভুক্ত হয়ে ভাটিক্যান নগরীতে সংরক্ষিত রয়েছে। এরই আরেকটি খসড়া ল-নের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত হচ্ছে Codex Sinaiticus নামে। এই উভয় খসড়া প্রনয়নের সময়কাল হচ্ছে খ্রীস্টপরবর্তী চতুর্থ শতাব্দী। খ্রীস্টীয় ৫ম শতাব্দের শুরুতে সেন্ট জেরোমে হিব্রু দলিল প্রমান সহযোগে ল্যাটিন ভাষায় আর একটি বাইবেল প্রকাশ করতে সমর্থ হন। খ্রীস্টীয় সপ্তম শতাব্দির পর এই বাইবেলের ব্যাপক প্রচার ঘটে। এটি সাধারন্যে ‘ভালগেট’ নামে পরিচিতি লাভ করে। এ প্রসঙ্গে বাইবেলের আরামীয় এবং সিরিয়াক (পেশিত্তা) আনুবাদের কথা উল্লেখ করতে হয়। কিন্তু এই উভয় অনুবাদই অসম্পূর্ন। আরো আছে...

ওল্ড টেস্টামেন্ট বা বাইবেল পুরাতন নিয়ম | দ্বিতীয় পর্ব

আধুনিক সংস্করনে সন্নিবেশিত এই বক্তব্যেও বেশির ভাগ পাঠকের পক্ষে বাইবেলের বানীর নির্ভুলতা নিয়ে বির্তক উত্থাপনস করা সম্ভব নয়। তবুও কথা থেকে জায়। কেননা ইতোমোধ্য বেশ কিছুসংখ্যক পুরোহিত-পণ্ডিত বাইবেল সম্পর্কে বেশকিছু রচনা প্রকাশ করেছে। এসব রচনা যদিও সর্বসাধারনের জন্য নয়, তবুও সে সবের প্রতি যদি কেউ দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন, দেখতে পাবেন, বাইবেলের অন্তর্ভুক্ত বিভীন্ন পুস্তকের যে নির্ভুলতার এতোকাল যাবত উপাসনালয়ের মতোই নির্মল ও পবিত্র বলে মনে করা হতো, সেই নির্ভুলতার প্রশ্নে জড়িয়ে রয়েছে নানা ঘোর-প্যাঁচ। আরো আছে...

ওল্ড টেস্টামেন্ট বা বাইবেল পুরাতন নিয়ম

বাইবেলের পুরাতন নিয়মের লেখক কে? এই প্রশ্নের উত্তরে অনেক খ্রিষ্টান পাঠকই যে বাইবেলের পরিচিতি পর্বের বক্তব্য টেনে জবাব দেওয়ার প্রয়াস পাবেন, তাতে কোন সন্দেহ নেই। আর সে জবাবে বলা হবে যে, বাইবেলের এই পুরাতন নিয়ম যদিও মানুষের হাতে লেখা, তবুও প্রেরন এসেছে ‘হোলি-ঘোস্ট’ বা পবিত্র-আত্মা’ থেকে, সুতরাং বিধতাই এ পুস্তকের রচয়ীতা। আরো আছে...

বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিস্কার

আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। জেমস ওয়াট খুব বেশি দূর লেখাপড়া করতে পারেননি । সংসারের অভাব- অনটনের জন্য কিশোর বয়সেই তাঁকে কাজের সন্ধানে বের হতে হয়। মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি লন্ডনের এক কারখানায় চাকরি নিন। এখানে তাঁকে দিনরাত পরিশ্রম করতে হতো। কারখানার স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ আর কঠোর পরিশমে দু দিনের তাঁর স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে। তারপর একদিন নিষ্ঠুর মালিক তাঁকে বের করে দেন কারখানা থেকে। কিন্তু ঘরে বসে থাকলে তো আর সংসার চলবে না। তাই আবার তিনি বের হন কাজের সন্ধানে। আরো আছে...

বাস্পীয় ইঞ্জিনের আবিষ্কারক জেমস ওয়াট

মানুষ আজ দূরকে জয় করেছে। পায়ে হাঁটার পথকষ্ট দূর হয়েছে যান্ত্রিক কল আবিষ্কারের ফলে। কিন্তু একদিনে সেটা হয়নি। যুগ যুগ ধরে বহুজনের অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে আজ মানুষ প্রবেশ করেছে যান্ত্রিক সভ্যতার যুগে। এক্ষেত্রে যাঁর প্রাথমিক অথচ সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অবদন বিজ্ঞানের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে খচিত তাঁর নাম জেম্স্ ওয়াট ( James Watt ) তিনিই বিশ্ব প্রথম বাষ্পীয় ইঞ্জিল উদ্ভাবন করেন। আরো আছে...

Friday, July 26, 2019

জোশেফ প্রিস্টলির নিজ দেশ হতে বিতাড়ন

প্রিস্টলি বার্মিংহামে ছিলেন ১৭৮০ থেকে ১৭৯১ পর্যন্ত। পালন করেছিলেন একটি নব্য ধর্মসম্প্রদায়ের ধর্মযাজকের দায়িত্ব। এই সময় তাঁর গ্রহন করা ধর্ম-মতবাদের ওপর তিনি বেশ কিছু প্রবন্ধ রচনা করেন। এতে করে প্রাচিন পন্থিরা তাঁর ওপর ভীষন খেপে যায়। ধীরে ধীরে তাঁর বিরুদ্ধবাদিদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। কিন্তু ব্যাপারটা তিনি তেমন আমল দিলেন না। তিনি প্রকাশ্যই ফরাসি বিপ্লবের প্রতিও সমর্থন করতে থাকেন। ব্যাপারটা তার জন্য ঘৃতে আত্মাহুতি দেয়ার শামিল হয়ে দাঁড়ায়। পরবর্তী...

অক্সিজেন আবিস্কারক জোশেফ প্রিস্টলি | জল সৃষ্টির ধারনা

অক্সিজেন ছাড়াও কয়েকটি নতুন গ্যাস আবিস্কার করেন। এগুলো হলো- কার্বন মনোঅক্সাইড, এ্যামোনিয়া, নাইট্রেট অক্সাইড, নাইট্রোজেন এবং সালফার ডাই অক্সাইড। প্রিস্টলি শুধু বিজ্ঞানীই ছিলেন না, তিনি একজন ভাল লেখকও। তিনি নানা বিষয়ের ওপর অনেকগুলো বই লিখে গেছেন। তিনি ১৭৬৭ থেকে ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ধর্মযাজক ছিলেন। এ সময় তিনি ধর্ম ও সাধারন শিক্ষার প্রায় ৩০ খানার মতো বই রচনা করেন। ১৭৭৩ থেকে ১৭৭৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি লর্ড সেলাবার্নের ব্যাক্তিগত লাইব্রেরীর দ্বায়ীত্ব পালন করেন। এসময় তিনি রচনা করেন প্রায় ২০ টির মতো বই। প্রায় ঠিক একই সময়ে আরো একটি যুগান্তকারী ঘটনা ঘটে। প্রিস্টলি খবর পান যে, বিজ্ঞানী ক্যাভেন্ডিশ ‘জ্বালানি বায়ু ’ অর্থাৎ ‘হাইড্রজেন’ আবিস্কার করেন। তখন কেউ এই গ্যাস সম্পর্কে কিছু জানত না। ব্যপারটা শোনার পর প্রিস্টলি নিজেও এই গ্যাস সম্পর্কে উৎসাহি হয়ে ওঠেন এবং গবষেনা শুরু করেন। একদিন তিনি পাত্রের মধ্যে লেড অক্সাইড নিয়ে তাতে হাইড্রোজেন গ্যাস ভরে তার মুখ বন্ধ করে দিলেন। তারপর উত্তপ্ত করতে লাগলেন। কিছুক্ষন পরে দেখা গেল পাত্রের নিচে তলানি হিসেবে কিছু লেড পড়ে আছে। তিনি আরো দেখতে পেলেন যে পাত্রের গায়ে বিন্দু বিন্দু জল জমা হয়েছে। পরবর্তী...

অক্সিজেন আবিষ্কার

প্রিস্টলির জীবনের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার অক্সিজেন। এই ঐতিহাসিক ঘটনাটি ঘটে ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দের ১ আগষ্ট তারিখে। এটা ছিল তার জীবনের একটি আকষ্মিক আবিস্কার। সেদিনও তিনি নিজের ঘরে বসে গবেষনা করছিলেন। একটি পাত্রে কিছু পরিমান সালফিউরিক অক্সাইড নিয়ে উত্তপ্ত করছিলেন। হঠাৎ করে তিনি লক্ষ্য করলেন পাত্রটি থেকে এক ধরনের বায়বীয় পর্দাথ বের হয়ে যাচ্ছে। তিনি এই বায়বীয় পদার্থটি একটি পাত্রে সংরক্ষণ করলেন। তারপর তাই নিয়ে শুরু করলেন গবষেণা। দেখলেন, এই বায়ূর মধ্যে কোন জ্বলন্ত মোমবাতি প্রবেশ করালে তা আরো সতেজ হয়ে ওঠে। বিস্তারিত...

Wednesday, July 24, 2019

অক্সিজেন আবস্কিারক জোশেফ প্রিস্টলি | সোডা ওয়াটার আবিস্কার ও ‘কেপল পদক’

প্রথমে তিনি ডিসেন্টার্স অ্যাকাডেমিতে ভাষা শিক্ষক হিসেবে যোগদান করলেও পরে যোগ দেন এর রসায়ন বিভাগে। ক্রমে রসায়ন শাস্ত্রের প্রতি আগ্রহ বাড়তে থাকে তাঁর। শুরু হয় ঘরে বসেই তাঁর নানারকম বৈজ্ঞানিক পরীক্ষানিরীক্ষার কাজ। এরই মধ্যে একদিন খবর পেলেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্যাঙ্কলিন লন্ডন বেড়াতে আসছেন। যথাসময়ে তিনি সাক্ষাৎ করলেন ফ্যাঙ্কলিন সাথে। তখনও তড়িৎবিজ্ঞানের ওপর ভাল কোন বই ছিল না। বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন প্রিস্টলিকে তড়িৎবিজ্ঞানের ওপর বই লেখার অনুরোধ জানালেন। কিন্তু বই লিখতে গিয়ে বেশ সমস্যায় পড়তে হলো প্রিস্টলিকে। দেখা গেল হাতের সমনে রেফারেন্স বই নেই। আসল কথা হলো, তড়িৎবিজ্ঞানের ওপর তেমন কোনো মৌলিক গবেষনাও হয়নি। বই লেখার পাশা পাশি যেসব বিষয়ে তিনি সমস্যার সম্মুখীন হতেন, সেগুলো নিয়ে নিজেই গবেষনা শুরু করে দিলেন। এভাবেই তিনি আবিষ্কার করলেন কার্বন যে একটি বিদ্যুৎ সুপরিবাহী বস্তু তার সূত্র। বিস্তারিত...

অক্সিজেন আবস্কিারক জোশেফ প্রিস্টলি

পৃথিবীর বিশাল জলরাশী এবং ততোধকি বিশাল জীবজগৎ যে সৃষ্টি হয়ছে তার মূলে আছে কতগুলো প্রাকৃতিক গ্যাসীয় পর্দাথ। প্রকৃতিতে বিশেষ করে বায়ূমণ্ডলে যে দুটো গ্যাসের প্রাধান্য সবচয়ে বেশি সে দুটো হলো নাইট্রোজেন এবং অক্সিজেন। এর মধ্যে অক্সিজেনই জীবজগতের সবচয়ে বেশি প্রয়োজনীয়। অক্সিজেন ছাড়া পৃৃথিবীর একটি প্রানীও বাঁচতে পারে না। বিস্তারিত...

Tuesday, July 23, 2019

বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন এর বর্ণাঢ্য জীবন | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদান

১৭৪২ খ্রিস্টাব্দে তিনি শীতের হাত থেকে বাঁচার জন্য তৈরি করেন বিশেষ ধরনের ধাতুর তৈরির স্টোভ। বেঞ্জমিনের নামানুসারে এর নাম রখা হয ‘ফ্রাঙ্কলিন্স স্টোভ’। এ ছাড়াও তিনি ছোটখাটো অনেককিছু আবিস্কার করেন। আর এভাবেই বিজ্ঞান জগতের খ্যাতিমান ব্যক্তিতে পরিণত হয়। তাঁর বৈজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধগুলো পৃথিবির অন্য অনেক ভাষায় অনূদিত হতে থাকে। ১৭৫৩ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যায়ের তরফ থেকে তাঁকে সম্মানসূচক এম.এ. ডিগ্রি প্রদান করা হয়। বিস্তারিত...

Monday, July 22, 2019

বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন এর বর্ণাঢ্য জীবন | বজ্রনিরোধক দণ্ড ‘ফ্রাঙ্কলিন রড’ আবিস্কার

১৭৪৫ খ্রিস্টাব্দে শুনলেন ড. স্পেনসার বোস্টনে আসছেন বিজ্ঞানের ওপর বক্তিৃতা দোয়ার জন্য। তাঁর এই বক্তিতার বিষয় ছিল বিদ্যুৎ। এই বক্তিৃতা শুনে বাড়ি ফিরেই বেঞ্জামিন নিজেও শুরু করলেন পরীক্ষানিরীক্ষা। তৈরি করলেন আনেকগুলো যন্ত্রপাতি। তারপর তিনিই প্রথম আবিষ্কার করেন যে, ঘর্ষনের ফলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় বলে যে কথা প্রচলিত আছে, সেটা ঠিক নয়। ঘর্ষণে বিদ্যুৎ সংগৃহীত হয় মাত্র, তৈরি হয় না। বিস্তারিত...

বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন এর বর্ণাঢ্য জীবন | ফিলাডেলফিয়া পাবলিক লইব্রেরি প্রতিষ্ঠা

আমেরিকার ফিলাডেলফিয়ায় থাকতেন তাঁর এক বন্ধু। নাম ডেনহাম। এই সময় তিনি ফ্রাঙ্কলিনকে আমেরিকায় ফিরে আসার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখলেন। জানালেন, তাঁকে ছাপাখানার ব্যাবসার অংশীদারিত্ব দেওয়া হবে। বেঞ্জামিন ফিলাডেলফিয়ায় এসে যোগাযোগ করেন ডেনহামের সঙ্গে। কিন্তুু দূর্ভগ্য, চার মাস যেতে না যেতেই মারা গেলেন ডেনহাম। প্রেস গেল বন্ধ হয়ে। বিস্তারিত...

বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন এর বর্ণাঢ্য জীবন | সাঁতারের স্কুল প্রতিষ্ঠা

অবশেষে বাধ্য হয়ে বড় ভাই জেমস-এর ভয়ে ইংলন্ড ছাড়তে হলো তাঁকে। তিনি ১৭২৩ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ১৭ বছর বয়সে ইংল্য্যন্ড ছেড়ে গোপনে জাহাজে চড়ে পাড়ি দিলেন আটলান্টিক মহাসাগর। চলে এলেন আমেরিকায়। এখানে এসেও তিনি নিঃস্ব অবস্থায় ঘুরতে লাগলেন পথে পথে। অবশেষে বেডফোর্ড নামের এক বুড়ো মালিক এগিয়ে এলেন তাঁর সাহায়্যে। বিস্তারিত...

বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন এর বর্ণাঢ্য জীবন | লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ

বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের জন্ম ১৭০৬ খ্রিস্টাব্দের ১৭ জানুয়ারি বোস্টন শহরে এক গরিব মোমবাতিওয়ালার ঘরে। পিতার নাম জোসিয়া ফ্রাঙ্কলিন আর মায়ের নাম আবিয়া। বাবা মোমবাতি তৈরি করে বাজারে বিক্রি করতেন আর তা দিয়েই কোনোমতে তাঁদের সংসার চলত। তাই ছেলেমেয়েদের লেকাপড়া শেখানোর প্রতি কোনে আগ্রহ ছিল না তাঁর। কিন্তুু সেকালে নিয়ম ছিল প্রত্যেক পিতামাতাকে তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে হবে, নইলে দিতে হবে জরিমানা। বিস্তারিত...

Saturday, July 20, 2019

বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন এর বর্ণাঢ্য জীবন | বিদ্যুৎ আবিস্কার


বাল্টিক সাগরতীরে ‘অ্যাম্বার’ নামে এক ধরনের চমকি পাওয়া যায়, কোন কঠিন বস্তুর সাথে ঘষা দিলে তার থেকে আগুনের ফুলকি ছোটে। বহু যুগ আগে থেকে গ্রিসের লোকেরা অ্যাম্বার পাথরের এই গুণের কথা জানত। তারাই প্রথমে তার নাম দিয়েছিল ইলেকট্রন। এই ইলেকট্রন শব্দ থেকেই ইলেকট্র্রিসিটি শব্দের উৎপত্তি। বিস্তারিত...

Tuesday, July 16, 2019

৭৬ বছর পর পর আকাশে দেখা যায় যে ধূমকেতু | অ্যাডমন্ড হ্যালির জীবনকথা

ধুমকেতু সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে । এই বিখ্যাত ধূমকেতুটি যিনি আবিস্কার করেন, তাঁরই নাম জ্যোতিবিজ্ঞানী অ্যাডমন্ড হ্যালি (Admond Halley)। বিজ্ঞানী হ্যালী ধূমকেতুটি আবিষ্কার করেছিলেন বলেই তাঁর নামানুসারে এর নামকরন করা হয়েছে হ্যালির ধূমকেতু - অর্থ্যাৎ হ্যালি আবিষ্কৃত ধূমকেতু। বিস্তারিত>>

যার গবেষণায় প্রমানিত হয় আমাদের হৃৎপিণ্ড পাম্প করে ধমনীর মধ্য দিয়ে দেহের বিভিন্ন অংশে রক্ত প্রেরণ করে।

ষোড়শ শতাব্দীর প্রায় শেষের দিকে বিজ্ঞানজগতে, বিশেষত শারীরিক অঙ্গসংস্থান এবং শারীরবৃত্ত বিষয়ে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন উইলিয়াম হার্ভে ( William Harvey )। তিনিই সর্বপ্রথম প্রাণী দেহের হৃৎপিণ্ড এবং রক্ত সঞ্চালন সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রকাশ করেন। তাঁর গবেষণায় এবং পরীক্ষায় মানবদেহের অঙ্গসংগঠনের বিন্যাসগত চিন্তা ও অনুশীলনে এক নতুন গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সূচনা হয়। তিনিই গবেষনণার দ্বারা সর্বপ্রথম প্রমাণ করেন যে, আমাদের হৃৎপিণ্ড পাম্প করে ধমনীর মধ্য দিয়ে দেহের বিভিন্ন অংশে রক্ত প্রেরণ করে। বিস্তারিত>>

পৃথিবীকে কেন্দ্র করেই সূর্য, চন্দ্র এবং অন্যান্য গ্রহ প্রদক্ষিন করছে যুক্তি দিয়ে এ তথ্যকে সর্বপ্রথম ভুল প্রমানিত করলেন ইওহানেস কেপলার

সৌরজগতের গ্রহ-নক্ষত্র নিয়ে অ্যারিষ্টটলের যুগ থেকেই এই ধারনা প্রচলিত ছিল যে, সৌরজগতের কেন্দ্রবিন্দু হলো পৃথিবী। জ্যোর্তিবিজ্ঞানী কোপারনিকাসই সর্বপ্রথম এই বিভ্রান্তিমূলক তত্ত্বের বিরোধিতা করে বলেন, পৃথিবী নয়, সৌরজগতের কেন্দ্রবিন্দু হলো সর্য। পৃথিবীসহ অন্যান্য গ্রহ তাদের নিজ নিজ কক্ষপথে সূর্যকেই প্রদক্ষিন করছে। কিন্তুু এই গ্রহ প্রদক্ষিণের গতিধারার নিয়ম ( Planetary Motion ) যিনি সর্বপ্রথম সূত্রায়িত করেন তাঁর নাম ইওহানেস কেপলার ( Johannes Kepler )। এই আবিষ্কারই তাঁকে এনে দেয় বিশ্বজোড়া খ্যাতি এবং প্রতিষ্ঠিত করে চিরকালীন সম্মানের আসনে। তিনিই সর্বপ্রথম সৌরজগতের কোন গ্রহ কত গতিবেগে এবং কত দূর থেকে সূর্যকে প্রদক্ষিন করেছে, তার সূত্র নির্ণয় করেন। এটি ছিল জ্যেতির্বিজ্ঞানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধরনের আবিষ্কার। বিস্তারিত>>

আধুনিক মূদ্রণশিল্পের ইতিকথা

মানবসভ্যতার আজ আনেক অগ্রতি হয়েছে, মানুস জ্ঞান ও বিজ্ঞানে অর্জন করেছে চরম সাফল্য। এর মূলে রয়েছে মুদ্রনশিল্প। মুদ্রন শিল্পের যদি প্রসার না ঘটত, তা হলে সভ্যতা এত দ্রুত বিকাশ লাভ করতে পারতো না। যত বেশি প্রকাশনা বা মূদ্রন শিল্পর প্রসার ঘটেছে, ততই হয়েছে মানুষের জ্ঞান বিজ্ঞান, শিল্প ও সংস্কৃতির ধারা। তাই একথা নির্দ্ধাধায় বলা যায়-মানুষে জ্ঞেনবিকাশের মানুষের জ্ঞান বিকাশের সবচে বড় সহয়ক হছে মুদ্রনশল্প। আর এই মুদ্রনশিল্পের বিকাশে ক্ষেত্রে যে-ব্যক্তিটির সবচেয়ে বড় অবদান, তিনি হলেন জার্মানির সেই মহান আবিষ্কারক ইওহানেস গুটেনর্বাগ ( Johannes Gutenberg ) । তিনিই সর্বপ্রথম পূনর্ব্যহারয়োগ্য ধাতব টাইপ আবিষ্কার করে মুদ্রণশিল্পের ক্ষেত্রে সৃষ্টি করেন এক যুগান্তরের। বিস্তারিত>>

রজার বেকনের যে সব উদ্ভট ভাবনা আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে

বিজ্ঞানের আজ এই যে উন্নতি, তার ক্রমবিকাশে বিশ্বোর যেসব মনীষী তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, সারাজিবনের সাধনা দিয়ে যাঁরা এর মূল ভিত্তি রচনা করে গেছেন, তঁদের অন্যতম ছিলেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী রজার বেকন (Roger Bacon)। বলতে গেলে তিনিই আধুনিক বিজ্ঞানের মূল স্থপতি। মহাকাশযান আজ আধুনিক বিজ্ঞানের এক বিরাট বিষ্ময়। কিস্তু এই মহাকাশযান বা রকেট আবিষ্কারের গোড়াতে রয়েছে রজার বেকনের বিরাট অবদান। রকেটের মূল ভিত্তি আতশবাজি। বিভিন্ন বিস্ফোরকের সংমিশ্রন ঘটিয়ে আতশবাজি তৈরি করা হয়। আতশবাজির মূল উপাদান ব্ল্যাক পাউডার (Black Powder)। ঐতিহাসিকরা বলেন, বজার বেকনই প্রথম এই পাউডার আবিষ্কার করেন করেন। বিস্তারিত>>

প্রচারের দিক থেকে বাইবেলের পরেই ছিল যে বইটির স্থান | জ্যামিতির জনক ইউক্লিডের আবিস্কার সমূহ

আমাদে ইস্কুল কলেজে এখন পর্যন্ত যে-ধরনের জ্যামিতি পরানো হয়, তার আধিকাংশ সূত্রেরই আকিস্কারক প্রাচীন অঙ্কশাস্ত্রবিদ ইউক্লিড (Euclid)। তাই তাঁকেই অভিহিত করা হয় জ্যামিতর জনক বলে। যিশুখ্রিস্টেও জন্মর ৩০০ বছর আগের যেসব জ্যামিতিক সূত্র প্রচলিত ছিল ইউক্লিডই প্রথম সেগুলো সংকলন করে। প্রবাদ আছে- ইউক্লিডের এই আঙ্কশাস্ত্রর গ্রন্থটি সেকালে এত ব্যপকভাবে জনপ্রিয় হয়েছিল যে, বাইবেলের পরেই ছিল এর স্থান। ইউক্লিডের মৃত্যুর আড়াই হাজার বছর পরেও আজও স্কুল-কলেজে যে জ্যামিতিশাস্ত্র পড়ান হয়,তারও মূলে ইউক্লিডেরই তত্ত্ব। বিস্তারিত...