বাংলা সাহিত্য এবং বাংলা ভাষায় সংকলিত লিখা যা সাহিত্য চর্চা ও সকল শ্রেণীর মানুষের জ্ঞান বিকাশে সহায়ক তা সকলের নিকট পৌছে দেয়াই আমাদের অভিপ্রায়। www.banglasahitto.com
Friday, August 9, 2019
বাইবেল পুরাতন নিয়ম | খ্রীস্টান লেখকদের বিভ্রান্তি | পর্ব ২
বলা অনাবশ্যক যে, এভাবেই এই লেখক জনপ্রিয় এক লোককাহিনীকে আসমানী-বাণীর অংশ হিসাবে উপস্থাপনের যৌক্তিকতা খুঁজে নিতে চেয়েছেন এবং বলতে চেয়েছেন যে, মানুষের বিশ্বাসবোধ জাগ্রত করার জন্য ধর্মীয় শিক্ষার উপকরণ হিসাবে এ ধরনের কাহিনী ব্যবহারে দোষের কিছু নেই। কিন্তু লেখক হয়ত ভুলে গেছেন যে, তাঁর এই অত্নপক্ষ সমর্থনের দ্বারা প্রমাণিত হচ্ছে, আল্লাহর বাণী হিসাবে পরিগৃহীত ও পবিত্র বলে স্বীকৃত এই বাইবেল রচনার বেলায় সংশ্লিষ্ট লেখকবৃন্দ কতটা স্বাধীনভাবে নিজেদের কলম চালিয়ে গেছেন। আর আসমানী কিতাব হিসাবে পরিচিত বাইবেলের কোনো একটি বিষয় লিপিবদ্ধ করার ব্যাপারে মানুষের এ ধরনের হস্তক্ষেপের কথা একবার যদি স্বীকার করে নেওয়া হয়, তাহলে গোটা বাইবেল রচনার প্রশ্নেও মানুষের স্বার্থ চরিতার্থ করার বিষয়টা সাব্যস্ত হয়ে পড়ে না কি? যদি বলা হয় যে, এই হস্তক্ষেপের পিছনে ধর্মীয় উদ্দেশ্য বিদ্যমান ছিলো, তাহলে তো এ ধরনের সকল হস্তক্ষেপই বৈধ হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, এভাবে খ্রীস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর পুরোহিত-লেখকগণের দ্বারা বাইবেলের রদবদল সাধনের বিষয়টাও যুক্তিসঙ্গত বলেই বিবেচনা করতে হয়। এমনকি যে ধর্মীয় ভাবাবেগে তাড়িত হয়ে ওইসব লেখক সেদিন বাইবেলের মধ্যে যতসব আজগুবি রচনার সমাবেশ ঘটিয়েছিলেন, যার কিছু কিছু পরিচয় ইতিমধ্যে আমরা পেয়েছি, সে সম্পর্কেও তাহলে বলার আর কিছুই থাকে না। আরো আছে...
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment