বাংলা সাহিত্য এবং বাংলা ভাষায় সংকলিত লিখা যা সাহিত্য চর্চা ও সকল শ্রেণীর মানুষের জ্ঞান বিকাশে সহায়ক তা সকলের নিকট পৌছে দেয়াই আমাদের অভিপ্রায়। www.banglasahitto.com
Wednesday, July 31, 2019
ওল্ড টেস্টামেন্ট বা বাইবেল পুরাতন নিয়ম | তৃতীয় পর্ব
সপ্তম শতাব্দী পর্যন্ত এই বাইবেল প্রামান্য গ্রন্থ হিসেবে চালু ছিলো। সাধারন্যে ব্যবহাবের জন্য খ্রীস্টান জগতে বাইবেলের যে গ্রীক পাঠটি চালু আছে তার মূল খসড়াটি Codex Vaticanus নামে তালিকাভুক্ত হয়ে ভাটিক্যান নগরীতে সংরক্ষিত রয়েছে। এরই আরেকটি খসড়া ল-নের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত হচ্ছে Codex Sinaiticus নামে। এই উভয় খসড়া প্রনয়নের সময়কাল হচ্ছে খ্রীস্টপরবর্তী চতুর্থ শতাব্দী।
খ্রীস্টীয় ৫ম শতাব্দের শুরুতে সেন্ট জেরোমে হিব্রু দলিল প্রমান সহযোগে ল্যাটিন ভাষায় আর একটি বাইবেল প্রকাশ করতে সমর্থ হন। খ্রীস্টীয় সপ্তম শতাব্দির পর এই বাইবেলের ব্যাপক প্রচার ঘটে। এটি সাধারন্যে ‘ভালগেট’ নামে পরিচিতি লাভ করে।
এ প্রসঙ্গে বাইবেলের আরামীয় এবং সিরিয়াক (পেশিত্তা) আনুবাদের কথা উল্লেখ করতে হয়। কিন্তু এই উভয় অনুবাদই অসম্পূর্ন। আরো আছে...
ওল্ড টেস্টামেন্ট বা বাইবেল পুরাতন নিয়ম | দ্বিতীয় পর্ব
আধুনিক সংস্করনে সন্নিবেশিত এই বক্তব্যেও বেশির ভাগ পাঠকের পক্ষে বাইবেলের বানীর নির্ভুলতা নিয়ে বির্তক উত্থাপনস করা সম্ভব নয়।
তবুও কথা থেকে জায়। কেননা ইতোমোধ্য বেশ কিছুসংখ্যক পুরোহিত-পণ্ডিত বাইবেল সম্পর্কে বেশকিছু রচনা প্রকাশ করেছে। এসব রচনা যদিও সর্বসাধারনের জন্য নয়, তবুও সে সবের প্রতি যদি কেউ দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন, দেখতে পাবেন, বাইবেলের অন্তর্ভুক্ত বিভীন্ন পুস্তকের যে নির্ভুলতার এতোকাল যাবত উপাসনালয়ের মতোই নির্মল ও পবিত্র বলে মনে করা হতো, সেই নির্ভুলতার প্রশ্নে জড়িয়ে রয়েছে নানা ঘোর-প্যাঁচ। আরো আছে...
ওল্ড টেস্টামেন্ট বা বাইবেল পুরাতন নিয়ম
বাইবেলের পুরাতন নিয়মের লেখক কে? এই প্রশ্নের উত্তরে অনেক খ্রিষ্টান পাঠকই যে বাইবেলের পরিচিতি পর্বের বক্তব্য টেনে জবাব দেওয়ার প্রয়াস পাবেন, তাতে কোন সন্দেহ নেই। আর সে জবাবে বলা হবে যে, বাইবেলের এই পুরাতন নিয়ম যদিও মানুষের হাতে লেখা, তবুও প্রেরন এসেছে ‘হোলি-ঘোস্ট’ বা পবিত্র-আত্মা’ থেকে, সুতরাং বিধতাই এ পুস্তকের রচয়ীতা। আরো আছে...
বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিস্কার
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। জেমস ওয়াট খুব বেশি দূর লেখাপড়া করতে পারেননি । সংসারের অভাব- অনটনের জন্য কিশোর বয়সেই তাঁকে কাজের সন্ধানে বের হতে হয়।
মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি লন্ডনের এক কারখানায় চাকরি নিন। এখানে তাঁকে দিনরাত পরিশ্রম করতে হতো। কারখানার স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ আর কঠোর পরিশমে দু দিনের তাঁর স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে। তারপর একদিন নিষ্ঠুর মালিক তাঁকে বের করে দেন কারখানা থেকে। কিন্তু ঘরে বসে থাকলে তো আর সংসার চলবে না। তাই আবার তিনি বের হন কাজের সন্ধানে। আরো আছে...
বাস্পীয় ইঞ্জিনের আবিষ্কারক জেমস ওয়াট
মানুষ আজ দূরকে জয় করেছে। পায়ে হাঁটার পথকষ্ট দূর হয়েছে যান্ত্রিক কল আবিষ্কারের ফলে। কিন্তু একদিনে সেটা হয়নি। যুগ যুগ ধরে বহুজনের অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে আজ মানুষ প্রবেশ করেছে যান্ত্রিক সভ্যতার যুগে।
এক্ষেত্রে যাঁর প্রাথমিক অথচ সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অবদন বিজ্ঞানের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে খচিত তাঁর নাম জেম্স্ ওয়াট ( James Watt ) তিনিই বিশ্ব প্রথম বাষ্পীয় ইঞ্জিল উদ্ভাবন করেন। আরো আছে...
Friday, July 26, 2019
জোশেফ প্রিস্টলির নিজ দেশ হতে বিতাড়ন
প্রিস্টলি বার্মিংহামে ছিলেন ১৭৮০ থেকে ১৭৯১ পর্যন্ত। পালন করেছিলেন একটি নব্য ধর্মসম্প্রদায়ের ধর্মযাজকের দায়িত্ব। এই সময় তাঁর গ্রহন করা ধর্ম-মতবাদের ওপর তিনি বেশ কিছু প্রবন্ধ রচনা করেন। এতে করে প্রাচিন পন্থিরা তাঁর ওপর ভীষন খেপে যায়। ধীরে ধীরে তাঁর বিরুদ্ধবাদিদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। কিন্তু ব্যাপারটা তিনি তেমন আমল দিলেন না। তিনি প্রকাশ্যই ফরাসি বিপ্লবের প্রতিও সমর্থন করতে থাকেন। ব্যাপারটা তার জন্য ঘৃতে আত্মাহুতি দেয়ার শামিল হয়ে দাঁড়ায়। পরবর্তী...
অক্সিজেন আবিস্কারক জোশেফ প্রিস্টলি | জল সৃষ্টির ধারনা
অক্সিজেন ছাড়াও কয়েকটি নতুন গ্যাস আবিস্কার করেন। এগুলো হলো- কার্বন মনোঅক্সাইড, এ্যামোনিয়া, নাইট্রেট অক্সাইড, নাইট্রোজেন এবং সালফার ডাই অক্সাইড।
প্রিস্টলি শুধু বিজ্ঞানীই ছিলেন না, তিনি একজন ভাল লেখকও। তিনি নানা বিষয়ের ওপর অনেকগুলো বই লিখে গেছেন।
তিনি ১৭৬৭ থেকে ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ধর্মযাজক ছিলেন। এ সময় তিনি ধর্ম ও সাধারন শিক্ষার প্রায় ৩০ খানার মতো বই রচনা করেন। ১৭৭৩ থেকে ১৭৭৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি লর্ড সেলাবার্নের ব্যাক্তিগত লাইব্রেরীর দ্বায়ীত্ব পালন করেন। এসময় তিনি রচনা করেন প্রায় ২০ টির মতো বই।
প্রায় ঠিক একই সময়ে আরো একটি যুগান্তকারী ঘটনা ঘটে। প্রিস্টলি খবর পান যে, বিজ্ঞানী ক্যাভেন্ডিশ ‘জ্বালানি বায়ু ’ অর্থাৎ ‘হাইড্রজেন’ আবিস্কার করেন। তখন কেউ এই গ্যাস সম্পর্কে কিছু জানত না।
ব্যপারটা শোনার পর প্রিস্টলি নিজেও এই গ্যাস সম্পর্কে উৎসাহি হয়ে ওঠেন এবং গবষেনা শুরু করেন।
একদিন তিনি পাত্রের মধ্যে লেড অক্সাইড নিয়ে তাতে হাইড্রোজেন গ্যাস ভরে তার মুখ বন্ধ করে দিলেন। তারপর উত্তপ্ত করতে লাগলেন। কিছুক্ষন পরে দেখা গেল পাত্রের নিচে তলানি হিসেবে কিছু লেড পড়ে আছে। তিনি আরো দেখতে পেলেন যে পাত্রের গায়ে বিন্দু বিন্দু জল জমা হয়েছে। পরবর্তী...
অক্সিজেন আবিষ্কার
প্রিস্টলির জীবনের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার অক্সিজেন।
এই ঐতিহাসিক ঘটনাটি ঘটে ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দের ১ আগষ্ট তারিখে।
এটা ছিল তার জীবনের একটি আকষ্মিক আবিস্কার। সেদিনও তিনি নিজের ঘরে বসে গবেষনা করছিলেন। একটি পাত্রে কিছু পরিমান সালফিউরিক অক্সাইড নিয়ে উত্তপ্ত করছিলেন। হঠাৎ করে তিনি লক্ষ্য করলেন পাত্রটি থেকে এক ধরনের বায়বীয় পর্দাথ বের হয়ে যাচ্ছে। তিনি এই বায়বীয় পদার্থটি একটি পাত্রে সংরক্ষণ করলেন। তারপর তাই নিয়ে শুরু করলেন গবষেণা। দেখলেন, এই বায়ূর মধ্যে কোন জ্বলন্ত মোমবাতি প্রবেশ করালে তা আরো সতেজ হয়ে ওঠে। বিস্তারিত...
Wednesday, July 24, 2019
অক্সিজেন আবস্কিারক জোশেফ প্রিস্টলি | সোডা ওয়াটার আবিস্কার ও ‘কেপল পদক’
প্রথমে তিনি ডিসেন্টার্স অ্যাকাডেমিতে ভাষা শিক্ষক হিসেবে যোগদান করলেও পরে যোগ দেন এর রসায়ন বিভাগে। ক্রমে রসায়ন শাস্ত্রের প্রতি আগ্রহ বাড়তে থাকে তাঁর। শুরু হয় ঘরে বসেই তাঁর নানারকম বৈজ্ঞানিক পরীক্ষানিরীক্ষার কাজ।
এরই মধ্যে একদিন খবর পেলেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্যাঙ্কলিন লন্ডন বেড়াতে আসছেন। যথাসময়ে তিনি সাক্ষাৎ করলেন ফ্যাঙ্কলিন সাথে।
তখনও তড়িৎবিজ্ঞানের ওপর ভাল কোন বই ছিল না। বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন প্রিস্টলিকে তড়িৎবিজ্ঞানের ওপর বই লেখার অনুরোধ জানালেন।
কিন্তু বই লিখতে গিয়ে বেশ সমস্যায় পড়তে হলো প্রিস্টলিকে। দেখা গেল হাতের সমনে রেফারেন্স বই নেই। আসল কথা হলো, তড়িৎবিজ্ঞানের ওপর তেমন কোনো মৌলিক গবেষনাও হয়নি।
বই লেখার পাশা পাশি যেসব বিষয়ে তিনি সমস্যার সম্মুখীন হতেন, সেগুলো নিয়ে নিজেই গবেষনা শুরু করে দিলেন। এভাবেই তিনি আবিষ্কার করলেন কার্বন যে একটি বিদ্যুৎ সুপরিবাহী বস্তু তার সূত্র। বিস্তারিত...
অক্সিজেন আবস্কিারক জোশেফ প্রিস্টলি
পৃথিবীর বিশাল জলরাশী এবং ততোধকি বিশাল জীবজগৎ যে সৃষ্টি হয়ছে তার মূলে আছে কতগুলো প্রাকৃতিক গ্যাসীয় পর্দাথ। প্রকৃতিতে বিশেষ করে বায়ূমণ্ডলে যে দুটো গ্যাসের প্রাধান্য সবচয়ে বেশি সে দুটো হলো নাইট্রোজেন এবং অক্সিজেন। এর মধ্যে অক্সিজেনই জীবজগতের সবচয়ে বেশি প্রয়োজনীয়। অক্সিজেন ছাড়া পৃৃথিবীর একটি প্রানীও বাঁচতে পারে না। বিস্তারিত...
Tuesday, July 23, 2019
বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন এর বর্ণাঢ্য জীবন | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদান
১৭৪২ খ্রিস্টাব্দে তিনি শীতের হাত থেকে বাঁচার জন্য তৈরি করেন বিশেষ ধরনের ধাতুর তৈরির স্টোভ। বেঞ্জমিনের নামানুসারে এর নাম রখা হয ‘ফ্রাঙ্কলিন্স স্টোভ’।
এ ছাড়াও তিনি ছোটখাটো অনেককিছু আবিস্কার করেন। আর এভাবেই বিজ্ঞান জগতের খ্যাতিমান ব্যক্তিতে পরিণত হয়। তাঁর বৈজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধগুলো পৃথিবির অন্য অনেক
ভাষায় অনূদিত হতে থাকে। ১৭৫৩ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যায়ের তরফ থেকে তাঁকে সম্মানসূচক এম.এ. ডিগ্রি প্রদান করা হয়। বিস্তারিত...
Monday, July 22, 2019
বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন এর বর্ণাঢ্য জীবন | বজ্রনিরোধক দণ্ড ‘ফ্রাঙ্কলিন রড’ আবিস্কার
১৭৪৫ খ্রিস্টাব্দে শুনলেন ড. স্পেনসার বোস্টনে আসছেন বিজ্ঞানের ওপর বক্তিৃতা দোয়ার জন্য। তাঁর এই বক্তিতার বিষয় ছিল বিদ্যুৎ। এই বক্তিৃতা শুনে বাড়ি ফিরেই বেঞ্জামিন নিজেও শুরু করলেন পরীক্ষানিরীক্ষা। তৈরি করলেন আনেকগুলো যন্ত্রপাতি। তারপর তিনিই প্রথম আবিষ্কার করেন যে, ঘর্ষনের ফলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় বলে যে কথা প্রচলিত আছে, সেটা ঠিক নয়। ঘর্ষণে বিদ্যুৎ সংগৃহীত হয় মাত্র, তৈরি হয় না। বিস্তারিত...
বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন এর বর্ণাঢ্য জীবন | ফিলাডেলফিয়া পাবলিক লইব্রেরি প্রতিষ্ঠা
আমেরিকার ফিলাডেলফিয়ায় থাকতেন তাঁর এক বন্ধু। নাম ডেনহাম। এই সময় তিনি ফ্রাঙ্কলিনকে আমেরিকায় ফিরে আসার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখলেন। জানালেন, তাঁকে ছাপাখানার ব্যাবসার অংশীদারিত্ব দেওয়া হবে।
বেঞ্জামিন ফিলাডেলফিয়ায় এসে যোগাযোগ করেন ডেনহামের সঙ্গে। কিন্তুু দূর্ভগ্য, চার মাস যেতে না যেতেই মারা গেলেন ডেনহাম। প্রেস গেল বন্ধ হয়ে। বিস্তারিত...
বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন এর বর্ণাঢ্য জীবন | সাঁতারের স্কুল প্রতিষ্ঠা
অবশেষে বাধ্য হয়ে বড় ভাই জেমস-এর ভয়ে ইংলন্ড ছাড়তে হলো তাঁকে। তিনি ১৭২৩ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ১৭ বছর বয়সে ইংল্য্যন্ড ছেড়ে গোপনে জাহাজে চড়ে পাড়ি দিলেন আটলান্টিক মহাসাগর। চলে এলেন আমেরিকায়। এখানে এসেও তিনি নিঃস্ব অবস্থায় ঘুরতে লাগলেন পথে পথে। অবশেষে বেডফোর্ড নামের এক বুড়ো মালিক এগিয়ে এলেন তাঁর সাহায়্যে। বিস্তারিত...
বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন এর বর্ণাঢ্য জীবন | লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ
বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের জন্ম ১৭০৬ খ্রিস্টাব্দের ১৭ জানুয়ারি বোস্টন শহরে এক গরিব মোমবাতিওয়ালার ঘরে। পিতার নাম জোসিয়া ফ্রাঙ্কলিন আর মায়ের নাম আবিয়া।
বাবা মোমবাতি তৈরি করে বাজারে বিক্রি করতেন আর তা দিয়েই কোনোমতে তাঁদের সংসার চলত। তাই ছেলেমেয়েদের লেকাপড়া শেখানোর প্রতি কোনে আগ্রহ ছিল না তাঁর। কিন্তুু সেকালে নিয়ম ছিল প্রত্যেক পিতামাতাকে তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে হবে, নইলে দিতে হবে জরিমানা। বিস্তারিত...
Saturday, July 20, 2019
বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন এর বর্ণাঢ্য জীবন | বিদ্যুৎ আবিস্কার
বাল্টিক সাগরতীরে ‘অ্যাম্বার’ নামে এক ধরনের চমকি পাওয়া যায়, কোন কঠিন বস্তুর সাথে ঘষা দিলে তার থেকে আগুনের ফুলকি ছোটে। বহু যুগ আগে থেকে গ্রিসের লোকেরা অ্যাম্বার পাথরের এই গুণের কথা জানত। তারাই প্রথমে তার নাম দিয়েছিল ইলেকট্রন। এই ইলেকট্রন শব্দ থেকেই ইলেকট্র্রিসিটি শব্দের উৎপত্তি। বিস্তারিত...
Tuesday, July 16, 2019
৭৬ বছর পর পর আকাশে দেখা যায় যে ধূমকেতু | অ্যাডমন্ড হ্যালির জীবনকথা
ধুমকেতু সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে । এই বিখ্যাত ধূমকেতুটি যিনি আবিস্কার করেন, তাঁরই নাম জ্যোতিবিজ্ঞানী অ্যাডমন্ড হ্যালি (Admond Halley)। বিজ্ঞানী হ্যালী ধূমকেতুটি আবিষ্কার করেছিলেন বলেই তাঁর নামানুসারে এর নামকরন করা হয়েছে হ্যালির ধূমকেতু - অর্থ্যাৎ হ্যালি আবিষ্কৃত ধূমকেতু। বিস্তারিত>>
যার গবেষণায় প্রমানিত হয় আমাদের হৃৎপিণ্ড পাম্প করে ধমনীর মধ্য দিয়ে দেহের বিভিন্ন অংশে রক্ত প্রেরণ করে।
ষোড়শ শতাব্দীর প্রায় শেষের দিকে বিজ্ঞানজগতে, বিশেষত শারীরিক অঙ্গসংস্থান এবং শারীরবৃত্ত বিষয়ে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন উইলিয়াম হার্ভে ( William Harvey )। তিনিই সর্বপ্রথম প্রাণী দেহের হৃৎপিণ্ড এবং রক্ত সঞ্চালন সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রকাশ করেন। তাঁর গবেষণায় এবং পরীক্ষায় মানবদেহের অঙ্গসংগঠনের বিন্যাসগত চিন্তা ও অনুশীলনে এক নতুন গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সূচনা হয়।
তিনিই গবেষনণার দ্বারা সর্বপ্রথম প্রমাণ করেন যে, আমাদের হৃৎপিণ্ড পাম্প করে ধমনীর মধ্য দিয়ে দেহের বিভিন্ন অংশে রক্ত প্রেরণ করে। বিস্তারিত>>
পৃথিবীকে কেন্দ্র করেই সূর্য, চন্দ্র এবং অন্যান্য গ্রহ প্রদক্ষিন করছে যুক্তি দিয়ে এ তথ্যকে সর্বপ্রথম ভুল প্রমানিত করলেন ইওহানেস কেপলার
সৌরজগতের গ্রহ-নক্ষত্র নিয়ে অ্যারিষ্টটলের যুগ থেকেই এই ধারনা প্রচলিত ছিল যে, সৌরজগতের কেন্দ্রবিন্দু হলো পৃথিবী। জ্যোর্তিবিজ্ঞানী কোপারনিকাসই সর্বপ্রথম এই বিভ্রান্তিমূলক তত্ত্বের বিরোধিতা করে বলেন, পৃথিবী নয়, সৌরজগতের কেন্দ্রবিন্দু হলো সর্য। পৃথিবীসহ অন্যান্য গ্রহ তাদের নিজ নিজ কক্ষপথে সূর্যকেই প্রদক্ষিন করছে।
কিন্তুু এই গ্রহ প্রদক্ষিণের গতিধারার নিয়ম ( Planetary Motion ) যিনি সর্বপ্রথম সূত্রায়িত করেন তাঁর নাম ইওহানেস কেপলার ( Johannes Kepler )। এই আবিষ্কারই তাঁকে এনে দেয় বিশ্বজোড়া খ্যাতি এবং প্রতিষ্ঠিত করে চিরকালীন সম্মানের আসনে।
তিনিই সর্বপ্রথম সৌরজগতের কোন গ্রহ কত গতিবেগে এবং কত দূর থেকে সূর্যকে প্রদক্ষিন করেছে, তার সূত্র নির্ণয় করেন। এটি ছিল জ্যেতির্বিজ্ঞানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধরনের আবিষ্কার। বিস্তারিত>>
আধুনিক মূদ্রণশিল্পের ইতিকথা
মানবসভ্যতার আজ আনেক অগ্রতি হয়েছে, মানুস জ্ঞান ও বিজ্ঞানে অর্জন করেছে চরম সাফল্য। এর মূলে রয়েছে মুদ্রনশিল্প। মুদ্রন শিল্পের যদি প্রসার না ঘটত, তা হলে সভ্যতা এত দ্রুত বিকাশ লাভ করতে পারতো না। যত বেশি প্রকাশনা বা মূদ্রন শিল্পর প্রসার ঘটেছে, ততই হয়েছে মানুষের জ্ঞান বিজ্ঞান, শিল্প ও সংস্কৃতির ধারা। তাই একথা নির্দ্ধাধায় বলা যায়-মানুষে জ্ঞেনবিকাশের মানুষের জ্ঞান বিকাশের সবচে বড় সহয়ক হছে মুদ্রনশল্প।
আর এই মুদ্রনশিল্পের বিকাশে ক্ষেত্রে যে-ব্যক্তিটির সবচেয়ে বড় অবদান, তিনি হলেন জার্মানির সেই মহান আবিষ্কারক ইওহানেস গুটেনর্বাগ ( Johannes Gutenberg ) । তিনিই সর্বপ্রথম পূনর্ব্যহারয়োগ্য ধাতব টাইপ আবিষ্কার করে মুদ্রণশিল্পের ক্ষেত্রে সৃষ্টি করেন এক যুগান্তরের। বিস্তারিত>>
রজার বেকনের যে সব উদ্ভট ভাবনা আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে
বিজ্ঞানের আজ এই যে উন্নতি, তার ক্রমবিকাশে বিশ্বোর যেসব মনীষী তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, সারাজিবনের সাধনা দিয়ে যাঁরা এর মূল ভিত্তি রচনা করে গেছেন, তঁদের অন্যতম ছিলেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী রজার বেকন (Roger Bacon)। বলতে গেলে তিনিই আধুনিক বিজ্ঞানের মূল স্থপতি।
মহাকাশযান আজ আধুনিক বিজ্ঞানের এক বিরাট বিষ্ময়। কিস্তু এই মহাকাশযান বা রকেট আবিষ্কারের গোড়াতে রয়েছে রজার বেকনের বিরাট অবদান। রকেটের মূল ভিত্তি আতশবাজি। বিভিন্ন বিস্ফোরকের সংমিশ্রন ঘটিয়ে আতশবাজি তৈরি করা হয়।
আতশবাজির মূল উপাদান ব্ল্যাক পাউডার (Black Powder)। ঐতিহাসিকরা বলেন, বজার বেকনই প্রথম এই পাউডার আবিষ্কার করেন করেন। বিস্তারিত>>
প্রচারের দিক থেকে বাইবেলের পরেই ছিল যে বইটির স্থান | জ্যামিতির জনক ইউক্লিডের আবিস্কার সমূহ
আমাদে ইস্কুল কলেজে এখন পর্যন্ত যে-ধরনের জ্যামিতি পরানো হয়, তার আধিকাংশ সূত্রেরই আকিস্কারক প্রাচীন অঙ্কশাস্ত্রবিদ ইউক্লিড (Euclid)।
তাই তাঁকেই অভিহিত করা হয় জ্যামিতর জনক বলে। যিশুখ্রিস্টেও জন্মর ৩০০ বছর আগের যেসব জ্যামিতিক সূত্র প্রচলিত ছিল ইউক্লিডই প্রথম সেগুলো সংকলন করে। প্রবাদ আছে-
ইউক্লিডের এই আঙ্কশাস্ত্রর গ্রন্থটি সেকালে এত ব্যপকভাবে জনপ্রিয় হয়েছিল যে, বাইবেলের পরেই ছিল এর স্থান। ইউক্লিডের মৃত্যুর আড়াই হাজার বছর পরেও আজও স্কুল-কলেজে যে জ্যামিতিশাস্ত্র পড়ান হয়,তারও মূলে ইউক্লিডেরই তত্ত্ব।
বিস্তারিত...
Subscribe to:
Posts (Atom)